আখের গুড়ের পাউডার:
বাংলাদেশের রাজশাহীর বিভিন্ন জেলার সবুজ ক্ষেত থেকে প্রাপ্ত আখ থেকে প্রস্তুত করা হয় ‘হেলদি ইটস আখের গুড়ের গুড়ো’। বিশুদ্ধতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট, কারণ আমরা গুড় তৈরী প্রক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক বা সংরক্ষণকারী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকি।
আখের গুড় হলো ঘনীভূত আখের রস থেকে প্রাপ্ত একটি ন্যাচারাল সুইটেনার। আখের রস হালকা থেকে মাঝারি আঁচে জাল দেওয়া হয় এবং ক্রমাগত নাড়া হয়। ঘন করার পর গুড়কে ঠান্ডা করা হয় এবং মেশিনের মাধ্যমে তৈরী করা করা আখের গুড়ের পাউডার।
আখের গুড়ের উপকারিতা:
১. পুষ্টি-সমৃদ্ধ: আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলিতে সমৃদ্ধ।
২. প্রাকৃতিক সুইটনার: এটি পরিশোধিত চিনির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে।
৩. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে রক্ষা করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এমন একটি পদার্থ, যার কাজ হলো দেহের সুস্থ কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে বাচাঁনো।
৪. হজমে সহায়ক: হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে পরিশোধিত করতে সহায়তা করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: এতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আখের গুড়ের ব্যবহার:
১. প্রাকৃতিক সুইটেনার: খাবারে মিষ্টি স্বাদ যোগ করার জন্য চমৎকার একটি ন্যাচারাল সুইটেনার।
২. মিষ্টান্ন তৈরি: পিঠা, পায়েশ, ফিরনি তৈরীতে ব্যবহার করুন আখের গুড়।
৩. স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরী: সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য তৈরি করুন আখের গুড়ের শরবত।
৪. আয়ুর্বেদিক প্রতিকার: এর পুষ্টি গুনের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়।
৫. প্রাকৃতিক স্কিনকেয়ার: ত্বকের পুষ্টির জন্য ফেস মাস্কে অন্তর্ভুক্ত করুন।
সতর্কতা:
আখের গুড়ের অতিরিক্ত সেবন রক্তে চিনির মাত্রাকে বৃদ্ধি করতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হলো।